বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য যথেষ্ট সমৃদ্ধ। দেশের অর্থনীতিতে চট্টগ্রামের ভূমিকা শীর্ষে থাকা সত্ত্বেও এখানকার শিক্ষার্থীরা একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একটি সমন্বিত, স্বয়ংসম্পূর্ণ আধুনিক Digital প্রযুক্তি সমৃদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাবে পিছিয়ে পড়ছে প্রতিনিয়ত। এর বাস্তবতা দেখা যায় প্রতিবছর Medical, BUET ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চট্টলা হতে চান্সপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেই।
একটি সৃজনশীল মনোরম পরিবেশ ও বিশ্বমানের সর্বাধুনিক প্রতিষ্ঠানে চট্টলার শিক্ষার্থীরা যেন স্বল্প খরচে পড়ালেখা করতে পারে এজন্য প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতির (যেমন- নোট, গাইড, প্রাইভেট, সাজেশন প্রভৃতি) নিয়ম ভেঙে শ্রেণীকক্ষেই প্রকৃত শিক্ষা প্রদান ও সৃজনশীল পদ্ধতির সঠিক অনুশীলন এবং প্রয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র ও শিক্ষাজোন খ্যাত চকবাজারের চটেশ্বরী রোডে Chittagong READ Foundation কর্তৃক গড়ে উঠেছে ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান South Asian College Chittagong যা বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল কলেজ।
শিক্ষার্থীরা যেন আনন্দের সাথে শিখতে পারে এজন্য আমরা সাউথ এশিয়ান কলেজ চিটাগং-এ একটি শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করেছি। এটিই বাংলাদেশের একমাত্র 7 Mbps Speed এর WiFi College ক্যাম্পাস। আমাদের Multimedia Classroom এ রয়েছে ডিজিটাল ক্লাসরুম এর সর্বাধুনিক সংযোজন Interactive Whiteboard, Multimedia Projector সহ আধুনিক শিক্ষা উপকরণসহ যার ব্যবহার বইয়ের পড়াশুনাকে করে তুলবে আরও বাস্তব-আরও জীবন্ত। Animation, Games, Story & Puzzle এর মাধ্যমে পাঠদানের ফলে পড়ালেখা হয়ে উঠবে আরো আনন্দদায়ক। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার ইচ্ছাকে আরও বেশি বেগবান করে তুলবে। e-library, Student Web Portal, Online class, Online Exam, Sports & Cultural Academy এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন শিক্ষার্থীদের চাহিদা শতভাগ পূরণ হয়।
আমাদের অন্যতম প্রধান প্রচেষ্টা হলো কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কলেজের পড়া কলেজেই শেষ করে দেয়া; যাতে তারা Private নামক ব্যাধি হতে মুক্তি পায়। এজন্য আমরা চালু করেছি Method-69 নামক বিজ্ঞান সম্মত ও কার্যকর পদ্ধতি। সৃজনশীল পদ্ধতি সবচেয়ে সহজে আয়ত্ব করতে এ পদ্ধতিতে ছয়টি (০৬) বিশেষ ধাপে পাঠদান করা হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের ক্লাসের পড়া ক্লাসেই শেষ হচ্ছে, তাই তাদেরকে প্রাইভেট পড়তে হচ্ছে না। প্রতি দশ (১০) জন শিক্ষার্থীকে নিবিড় Take Care এর জন্য রয়েছেন একজন Guide Teacher। এছাড়া অতি দুর্বলদের জন্য রয়েছে One to One Teaching Support অর্থাৎ একজন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক।
WiFi Hotspot এ ফ্রি ইন্টারনেট (শিক্ষাবান্ধব Website সমূহ) ব্যবহারের সুবিধা এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত Digital Classroom শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন কলেজে আসতে উৎসাহিত করছে। কলেজের নিজস্ব Apps এর মাধ্যমে প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার নিজের Web Portal এর সাহায্যে শিক্ষকমন্ডলী কর্তৃক প্রদত্ত Notes, Daily Home Work, Exam Notice, Pervious Class সমূহের Video সংগ্রহ করতে পারছে। ইতিমধ্যেই আমাদের শিক্ষার্থীরা এই Digital শিক্ষা ব্যবস্থার সুফল পেতে শুরু করেছে যা তাদের বিভিন্ন Class Test, Monthly Test, Term Exam এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণে পাওয়া যাচ্ছে। সাউথ এশিয়ান কলেজ চিটাগং এর সাম্প্রতিক সংযোজন হল Online Exam। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের ল্যাপটপে Objective Exam সমূহ Online-এ সম্পন্ন করতে পারবে-যা তাদেরকে আন্তর্জাতিক মানের যেকোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত করে তুলবে।
চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশে সর্বপ্রথম আমাদের প্রবর্তিত Digital শিক্ষা ব্যবস্থার এই সাফল্যে শিক্ষার্থীরা যেমন হয়েছে উপকৃত তেমনি সচেতন অভিভাবকদের আস্থা অর্জনে আমরা সক্ষম হয়েছি।
আমরা শিক্ষাকে ব্যবসা কিংবা চাকুরী নয়, একটি ব্রত ও সামাজিক দায়িত্ব মনে করি। আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন চিটাগং রীড ফাউন্ডেশন কর্তৃ ক প্রতিষ্ঠিত South Asian College এর আয়ের সিংহভাগই ব্যয় করা হবে সুবিধাবঞ্চিত, এতিম, অনাথ ও দরিদ্র শিক্ষার্থী দের শিক্ষার মানোন্নয়নে। এছাড়া মানুষ গড়ার মহান কারিগর সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলী ও বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান-সন্তুতির এবং দরিদ্র অথচ মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে বিশেষ সুবিধা।
একবিংশ শতাব্দীর নতুন প্রজন্মকে দেশীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও মূল্যবোধ ধারণ করে যোগ্য দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতেই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। নিরন্তর পথ চলায় চট্টলাবাসীকে সর্বদা পাশে পাবো এই আমাদের প্রত্যাশা।